নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দেশের তথাকথিক সুশীল সমাজ বেগম খালেদা জিয়ার কাঁধে বন্দুক রেখে শেখ হাসিনাকে হটাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বন্দর উপজেলার একরামপুর এলাকায় অনুষ্ঠি আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শামীম ওসমান বলেন, তাদের টার্গেট আওয়ামীলীগ না, তাদের টার্গেট হচ্ছে শুধুমাত্র শেখ হাসিনা। কারন তারা বুঝে গেছে যে শেখ হাসিনাকে হটাতে না পারলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না। বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, আপনাদের প্রতি আমার লজ্জা লাগে। ম্যাডাম খালেদা জিয়া আপনাদের একজনকেও বিশ্বাস করতে পারলেন না। তিনি জেলখানায় যাওয়ার আগে দলের দায়িত্ব দিলেন তারেক রহমানকে। যিনি টেম্প নদীর পাড়ে বসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। শামীম ওসমান বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়ার নের্তৃত্বে যারা ২৮৫ জন মানুষকে পুঁড়িয়ে হত্যা করেছে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
শামীম ওসমান বলেন, সামনে কঠিন খেলা হবে। বাম, ডান, সুশীল, কুশীল ইতর, বদমাশ সব এক হয়ে যাবে। তাদের টার্গেট শেখ হাসিনা। সুতরাং দেশ বাঁচাতে চাইলে শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে।
বিএনপির নেতাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি শামীম ওসমান চ্যালেঞ্জ করে বললাম, আজকের দিনটা লিখে রাখেন। আপনারা ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। তিনি বলেন, পরিস্কারভাবে বলতে চাই, আগামী দুই মাস পর অক্টোবর থেকে খেলা শুরু হবে। ইনশাল্লাহ এই খেলা শুরু হবে নারায়ণগঞ্জ থেকে। আমরা ক্ষমতা ছাড়ার পর পুলিশ আমাদের পাশে থাকবে না। আপনারা আর আমরা তখন সমানে সমান হব।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে লক্ষ মানুষ নিয়ে জনসভা করব। কেউ যদি খেলায় ফাউল করে তাদরেকে কঠিন জবাব দেয়া হবে। শামীম ওসমান সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিসহ দলের সব নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানান। তিনি দলের নেতাকর্মীদেরকে বিভেদ সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে মহাজোট থেকেই হবে। দলের কেউ কেউ নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই নৌকার প্রার্থী চায়। আমি বলব, দরকার হলে ৩০০ আসনেই নৌকার প্রার্থী চাইব। তবে আমার নেত্রীযাকে খুশি তাকে মনোনয়ন দেবেন। নেত্রীর সিদ্ধান্তই আমাদের মেনে নিতে হবে।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দুলাল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন-বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণন সম্পাদক শাহ্ নিজাম, জেরা আওয়ামীলীগ নেতা নূর হোসেন ও সিটি করপোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলোর অন্যান্য নেতারা#